― Advertisement ―

ভারতের সঙ্গে চুক্তির প্রতিবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে রেল কানেকটিভিটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির প্রতিবাদে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে...

জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে ২৩০ জনকে গুলি

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর এই ১১ মাসে দেশে ২৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। হতাহতের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) মাসিক অপরাধমূলক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১১ মাসে রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ৮৫২টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২৯ জন। আহত কমপক্ষে ছয় হাজার ৯৬৬ জন।

সবশেষ গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত হাদি এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছে। যা সময়ের সাথে সাথে আরো খারাপের দিকে যেতে পারে।

পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে হত্যা মামলা হয়েছে ২৭৯টি। এর বাইরে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় ১৮৪টি, নারী ও শিশু-নির্যাতনের ঘটনায় এক হাজার ৭৪৪টি, অপহরণের ঘটনায় ৯৩টি, চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক হাজার ১১০টি মামলা হয়।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকাশ্যে গুলির ঘটনা জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়ায় সর্বত্র হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি—এসব অপরাধ বেড়েছে।

এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, মব সহিংসতা, গণপিটুনিতে নির্যাতন ও হত্যা, নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণ, মাজারে হামলা ও ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা বেড়েছে।

এছাড়া, বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেফাজতে ও নির্যাতনে মৃত্যু, শ্রমিকদের ওপর হামলা, শিশু নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, কারাগারে মৃত্যু, সভা-সমাবেশে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।

আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে কারা গুলি করেছে সেটার রহস্য শক্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অবশিষ্ট যা আছে সেটাও প্রকাশ পাবে, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, সকল রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের এখনি জাতীয় স্বার্থে এরকম দুরভিসন্ধিমূলক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়া জরুরি। তাঁদের ও জনগণের ঐক্যের বার্তাই কেবল নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মনোবল দৃঢ় রাখতে পারে এবং জাতীয় শত্রুদের মনোবল চূর্ণ করতে পারে।