― Advertisement ―

ভারতের সঙ্গে চুক্তির প্রতিবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে রেল কানেকটিভিটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির প্রতিবাদে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে...

বাংলাদেশে ৬০ হাজার টাকার ক্যান্সারের ঔষধ এখন ৪ হাজারে মিলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ১৫ বছর আগেও বাংলাদেশকে প্রায় সম্পূর্ণভাবই আমদানি করা ক্যান্সারের ওষুধের ওপর নির্ভর করতে হতো। ব্যায়বহুল এই আমদানীতে বছরে এক হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হতো দেশের। তার পরেও বেশিরভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর কাছে জীবনরক্ষাকারী সেই ঔষধ উচ্চমূল্যের কারণে পৌঁছানো যেত না।

তবে গত দশকে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ধীরে ধীরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সরকারের কর ও শুল্ক ছাড়, উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্যান্সার রোগীর বৃদ্ধি মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্যান্সার ওষুধ দেশীয়ভাবে উৎপাদন করে, যা কম আয়ের ও দরিদ্র রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহজলভ্য করেছে।

বিকন, ইনসেপ্টা ও রেনাটা সহ অন্তত ১৭-১৮টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে অনকোলজি ওষুধ উৎপাদন করছে। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট এসএম মাহমুদুল হক পল্লব বলেছেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় সব ধরনের ক্যান্সার ওষুধ উৎপাদন করে।

তিনি বলেন, ‘বিকন ২০০৯ সালে ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদন শুরু করে। আজ আমাদের ১০০ টিরও বেশি অণু রয়েছে এবং দেশের মোট ক্যান্সারের ওষুধের চাহিদার প্রায় ৯৫% পূরণ করতে পারে,” তিনি বলেন। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর, বিকন শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মায়ানমারে রপ্তানি করে, যেখানে এটি একটি শীর্ষস্থানীয় প্রস্তুতকারক হিসেবে স্বীকৃত।’

দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পর থেকে ক্যান্সারের ওষুধের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে’ এ বিষয়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে এবং নিম্ন আয়ের রোগীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা আরও সাশ্রয়ী করে তোলে।’

ক্যান্সারের ঔষধের মূল্যহ্রাসের পেছনে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদনকে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দিয়েছে এবং কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির উপর আমদানি শুল্ক মওকুফ করেছে। বছরের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাঁচামাল আমদানির উপর হোল্ডিং ট্যাক্স ৫% থেকে কমিয়ে ২% করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১,৬৭,২৫৬ জন ক্যান্সার রোগী সনাক্ত হয়। যার মধ্যে ১,১৬,৫৯৮ জন মারা যায়। ক্যান্সারের ঔষুধের উচ্চমূল্যের কারণে এমনটা হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর অনকোলজি উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়িয়ে সেই অবস্থার উন্নতি করেছে। যা কেবল ব্যবসায়িক সুযোগ হিসেবেই নয়, জাতীয় প্রয়োজন হিসেবেও ভূমিকা রাখছে।

এসিআই ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই এই উন্নত ওষুধ তৈরির জন্য একটি বায়োটেক এবং বায়োসিমিলার সুবিধা তৈরি করেছি। এটি একবার কার্যকর হলে বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসার ঔষুধ আরো সুলভমূল্যে পাওয়া যাবে।’

সূত্র: নিউ এইজ