― Advertisement ―

কোটা আন্দোলনে সারাদেশে আজ নিহত ৬, চট্টগ্রামে ৩, ঢাকায় ২ ও রংপুরে ১

বরিশাল মেইল ডেস্কঃ

চাকরিতে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আজ মঙ্গলবার সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের একজন রংপুর, দুইজন ঢাকা ও তিনজন চট্টগ্রামের।
এছাড়া প্রগতি সরণি, মতিঝিল শাপলা চত্বর, উত্তরা ও বেড়িবাঁধ সড়কসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজের শত শত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী।
গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংস হামলার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনের সমন্বয়কারী, চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় কাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবু সাঈদকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীতে ঢাকা কলেজের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে সিটি কলেজের সামনে সংঘর্ষে আরও একজন মারা যায়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর।
শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ঘে চট্টগ্রামে দুজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের মধ্যে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা গেছে এক যুবককে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামে নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই দুজন নিহত হয়েছেন।